ডকুমেন্টরি
সড়ক দুর্ঘটনা স্মৃতিস্থাপনা ।। ভাস্কর্যের শব্দায়ন ১১ ।।
অতঃপর শব্দায়ন
২০১১ সালের ১৩ই আগস্ট মানিকগঞ্জে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মিশুক মুনীরসহ তাদের সফরসঙ্গীদের অনেকে। তাদের স্মৃতির ওপর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করার লক্ষ্যে বিধ্বস্ত মাইক্রোবাসটি ব্যবহার করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হলের পাশে তৈরি করা হয় ‘সড়ক দুর্ঘটনা স্মৃতিস্থাপনা’। এ স্থাপত্যের নকশা প্রণয়ন করেন শিল্পী সালাউদ্দিন আহমেদ।
পৃথিবীর প্রত্যেক জীবন মূল্যবান। অকালে যেকোনো মানুষের জীবন ঝরে পড়া অনাকাঙ্ক্ষিত ও বেদনাদায়ক। সে মানুষ যদি হয় জাতির মেধাবী, সৃজনশীল ও শ্রেষ্ঠ সন্তানদের কেউ তাহলে সে ক্ষতি অপূরণীয়। ২০১১ সালের ১৩ই আগস্ট মানিকগঞ্জে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন বাংলাদেশের বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মিশুক মুনীর। মাইক্রোবাসে মানিকগঞ্জের সালজানা গ্রামে “কাগজের ফুল” চলচ্চিত্রের লোকেশন নির্বাচন শেষে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন তারেক মাসুদ ও তার সহযাত্রীরা। বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাসের সঙ্গে তাঁদের মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন তারেক মাসুদ ও চিত্রগ্রাহক মিশুক মুনীর। এই দুর্ঘটনায় আরও মৃত্যুবরণ করেন ওয়াসিম, জামাল হোসেন ও মাইক্রোবাসের চালক মোস্তাফিজ। আহত হন ক্যাথরিন মাসুদ, চিত্রশিল্পী ঢালী আল মামুন ও চিত্রশিল্পী দিলারা বেগম জলি।
পরবর্তীতে ঢালী আল মামুন সেই বিধ্বস্ত মাইক্রোবাসটি ব্যবহার করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হলের পাশে তৈরি করেন “সড়ক দুর্ঘটনা স্মৃতিস্থাপনা”। এস্থাপত্যের নকশা প্রণয়ন করেন শিল্পী সালাউদ্দিন আহমেদ এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনা করে তারেক মাসুদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট। ২০১৪ সালের পহেলা সেপ্টেম্বর স্মারক স্থাপনাটির উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।