ডকুমেন্টরি

স্ফুলিঙ্গ ।। ভাস্কর্যের শব্দায়ন ০৮ ।।

অতঃপর শব্দায়ন

শহীদ শামসুজ্জোহার স্মৃতির উদ্দেশ্যে শহীদ শামসুজ্জোহা আবাসিক হলের মূল ফটকের পাশে একটি স্মৃতি স্মারক ‘স্ফুলিঙ্গ’ নির্মাণ করা হয়। ‘স্ফুলিঙ্গ’ (শহীদ শামসুজ্জোহা স্মৃতি ভাস্কর্য) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা আবাসিক হল প্রাঙ্গণে অবস্থিত।

১৯৬৯ সালে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ ১৯৬৬-এর ছয় দফা ও ১১ দফা দাবিতে এবং শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে আনিত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলন গড়ে তোলে। ২০ জানুয়ারি পাকিস্তানি পুলিশের গুলিতে মিছিল করা অবস্থায় ছাত্র ইউনিয়নের নেতা আমানুল্লাহ আসাদুজ্জামান শহীদ হন। ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সেনানিবাসে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম আসামি সার্জেন্ট জহুরুল হককে হত্যা করা হয়। এই দুটি হত্যাকাণ্ডে আন্দোলন আরও বেগবান হয়ে ওঠে এবং উদ্ভূত পরিস্থিতি প্রাদেশিক সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। কেন্দ্রীয় সরকার সামরিক বাহিনীর মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে, সান্ধ্যকালীন আইন জারি করে। ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল করার চেষ্টা করে। আন্দোলনকারী ছাত্ররা মিছিল বের করলে অনেক ছাত্রের জীবননাশের আশঙ্কা থাকায় প্রক্টর শামসুজ্জোহা নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন সেনাসদস্যদের। কিন্তু সেনাসদস্যরা তাঁর কথা উপেক্ষা করে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে তাকে হত্যা করে। তাঁর মৃত্যুর পরপরই তৎকালীন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার নামানুসারে নবনির্মিত আবাসিক হলের নামকরণ করেন শহীদ শামসুজ্জোহা হল এবং হলের মূল ফটকের পাশে একটি স্মৃতি স্মারক স্ফুলিঙ্গ নির্মাণ করা হয় ২০১২ সালে।

অপরাজেয় বাংলা ।। ভাস্কর্যের শব্দায়ন ০১ ।।
ডকুমেন্টরি
স্বোপার্জিত স্বাধীনতা ।। ভাস্কর্যের শব্দায়ন ০২ ।।
ডকুমেন্টরি
স্বাধীনতা সংগ্রাম ।। ভাস্কর্যের শব্দায়ন ০৩ ।।
ডকুমেন্টরি
স্মৃতি চিরন্তন ।। ভাস্কর্যের শব্দায়ন ০৪ ।।
ডকুমেন্টরি