ডকুমেন্টরি
রাজসিক ।। ভাস্কর্যের শব্দায়ন ০৬ ।।
অতঃপর শব্দায়ন
একসময় ঢাকার নবাবরা পরিবার-পরিজন নিয়ে রাজসিক বিহারে বের হতেন। তাঁদের গাড়িতে দ্রুতগতিসম্পন্ন দুটি ঘোড়া থাকত। তাঁরা যখন রাস্তায় থাকতেন তখন অন্য ঘোড়ার গাড়ি বা লোকজন একপাশে সরে দাড়াত তাঁদের গাড়ির নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিত করতে।
সারা ঢাকায় নয়ন জুড়ানো স্থাপত্য, বিদ্যুতায়ন, পানি পরিশোধন, পার্ক, আধুনিক মার্কেট তৈরিসহ নবাবদের বহু অবদান চোখে পড়ে এখনো। তবে ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, নবাব সলিমুল্লাহই শিল্প, শিক্ষা, নগর উন্নয়নে তার পরিবারের অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি অবদান রেখেছেন। তিনি নিজ জনগোষ্ঠী ও পূর্ববঙ্গ অর্থাৎ বাংলাদেশ ভূখণ্ডের প্রতি বিশেষ সহানুভূতিশীল ছিলেন। আর এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে ২০০৮ সালের ১৯ জানুয়ারি ঢাকার ৪০০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল-এর সামনে নির্মাণ করা হয় ‘রাজসিক’ ভাস্কর্যটি। শিল্পী মৃণাল হক এই ভাস্কর্যের নির্মাতা।