ডকুমেন্টরি
জননী ও গর্বিত বর্ণমালা ।। ভাস্কর্যের শব্দায়ন ০৫ ।।
অতঃপর শব্দায়ন
মা, মাতৃভাষা ও বর্ণমালার এই যোগসূত্রকে ফুটিয়ে তুলেছেন ভাস্কর মৃণাল হক তার জননী ও গর্বিত বর্ণমালা ভাস্কর্যে। যেখানে দেখা যায় একজন গর্বিত মা তার ভাষাশহীদ সন্তানকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। তার সামনে একটি সবুজ বৃত্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে কয়েকটি বাংলা বর্ণ।
বাংলার ইতিহাসে একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিবস ২১শে ফেব্রুয়ারি; যেটিকে সারাবিশ্ব আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে শ্রদ্ধার সাথে পালন করে। মূলত ভাষা শহীদদের আত্মদানের মধ্য দিয়েই বাঙালী জাতীয়তাবোধের সূচনা হয়।
সেই আন্দোলনকে চিরঅম্লান এবং তরুণ প্রজন্মকে একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে ঢাকার পরীবাগে নির্মাণ করা হয়েছে একুশের এই ভাস্কর্যটি। ২০১৬ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ভাস্কর্যটি উদ্বোধন করা হয়। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসের গৌরবময় ত্যাগের গাথা বয়ে চলেছে জননী ও গর্বিত বর্ণমালা ভাস্কর্যটি। মা, মাতৃভাষা ও বর্ণমালার এই যোগসূত্রকেই ফুটিয়ে তুলেছেন ভাস্কর মৃণাল হক তার ‘জননী ও গর্বিত বর্ণমালা’ ভাস্কর্যে। যেখানে দেখা যায় একজন গর্বিত মা তার ভাষাশহীদ সন্তানকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। তার সামনে একটি সবুজ বৃত্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে কয়েকটি বাংলা বর্ণ। পেছনে লাল বৃত্তে রয়েছে ‘২১’ এবং ‘ব ও ‘ক’।