ডকুমেন্টরি

স্বোপার্জিত স্বাধীনতা ।। ভাস্কর্যের শব্দায়ন ০২ ।।

অতঃপর শব্দায়ন

স্বোপার্জিত স্বাধীনতা; অর্থাৎ নিজেদের অর্জিত স্বাধীনতা। বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। যার মাধ্যমে নির্যাতিত-নিপীড়িত-শোষিত বাঙালি জাতি আত্মপ্রতিষ্ঠা লাভ করে। জাতির সেই মুক্তিযুদ্ধে সূর্যসন্তানদের আত্মত্যাগের ইতিহাস ধরে রাখতেই নির্মাণ করা হয় ‘স্বোপার্জিত স্বাধীনতা’।

স্বোপার্জিত স্বাধীনতা; অর্থাৎ নিজেদের অর্জিত স্বাধীনতা। বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। যার মাধ্যমে নির্যাতিত-নিপীড়িত-শোষিত বাঙালি জাতি আত্মপ্রতিষ্ঠা লাভ করে। জাতির সেই মুক্তিযুদ্ধে সূর্যসন্তানদের আত্মত্যাগের ইতিহাস ধরে রাখতেই নির্মাণ করা হয় ‘স্বোপার্জিত স্বাধীনতা’।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরের স্থাপন করা হয়েছে এই ভাস্কর্যটি। যেটি নির্মাণ করেছেন ভাস্কর শামীম শিকদার। একাজে তাকে সহযোগিতা করেছেন হিমাংশু রায় ও আনোয়ার চৌধুরী। বক্স আকৃতির বেদীর ওপর মূল ভাস্কর্যটির দেয়ালচিত্রে স্থান পেয়েছে এ দেশের মুক্তিযুদ্ধের নানান দিক। চারপাশের টেরাকোটায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সাত মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, পাকদখলদার বাহিনীর বাঙালি জাতির ওপর নির্যাতন, বুদ্ধিজীবী হত্যা, পাকবাহিনীর আত্মসমর্পণ, মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয়োল্লাসসহ মুক্তিযুদ্ধের বিশাল পটভূমি। ভাস্কর্যের সর্বোচ্চ স্থানে উড়ে চলেছে আমাদের জাতীয় পতাকা। নারী ও পুরুষের সমন্বিত হাত সেই পতাকাকে উঁচু করে তুলে ধরেছে, যা মুক্তিযুদ্ধে সবার অংশগ্রহণের দিকটিকে নির্দেশ করে।

জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষা যে চার স্তম্ভের ওপর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে, তারই প্রতিফলন দেখা যায় ভাস্কর শামীম সিকদারের “স্বোপর্জিত স্বাধীনতা” ভাস্কর্যে। ১৯৮৮ সালের ২৫ মার্চ জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক ভাস্কর্যটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন।

অপরাজেয় বাংলা ।। ভাস্কর্যের শব্দায়ন ০১ ।।
ডকুমেন্টরি
স্বোপার্জিত স্বাধীনতা ।। ভাস্কর্যের শব্দায়ন ০২ ।।
ডকুমেন্টরি
স্বাধীনতা সংগ্রাম ।। ভাস্কর্যের শব্দায়ন ০৩ ।।
ডকুমেন্টরি
স্মৃতি চিরন্তন ।। ভাস্কর্যের শব্দায়ন ০৪ ।।
ডকুমেন্টরি